Adegra Tablet (এডিগ্রা) এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, দাম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

Admin

এডিগ্রা (Adegra) হল বাংলাদেশের এসিআই (ACI) কোম্পানি দ্বারা প্রস্তুতকৃত, সিলডেনাফিল (Sildenafil Citrate) গ্রুপের একটি ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের ঔষধ যা পুরুষাঙ্গের উত্থানজনিত চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। সরবরাহ:—

১. এডিগ্রা ২৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট (Adegra 25 mg Tablet), প্রতি পিস: ৳ 20.06

২. এডিগ্রা ৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট (Adegra 50 mg Tablet), প্রতি পিস: ৳ 30.09

৩. এডিগ্রা ১০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট (Adegra 100 mg Tablet), প্রতি পিস: ৳ 50.15

সতর্কতা!মূল্য পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ মূল্য জানতে ফার্মেসিতে যোগাযোগ করুন।

এডিগ্রা (Adegra) এর কাজ

এডিগ্রা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন সহ পুরুষদের চিকিৎসায় নির্দেশিত, যা সন্তোষজনক যৌন কর্মক্ষমতার জন্য যথেষ্ট পুরুষাঙ্গ উত্থান অর্জন বা বজায় রাখতে অক্ষম।

এডিগ্রা কার্যকর হওয়ার জন্য, যৌন উদ্দীপনা প্রয়োজন। এছাড়া এডিগ্রা পালমোনারী হাইপারটেনসনের চিকিৎসাতেও নির্দেশিত।

খাওয়ার নিয়ম

বেশির ভাগ রোগীর জন্য সুপরিশকৃত সেবনমাত্রা হচ্ছে ৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট, প্রয়োজনমত, যৌন কার্যাক্রমের ১ ঘন্টা পূর্বে। তবে সিলডেনফিল যৌন কার্যক্রমের ৪ থেকে আধঘন্টা পূর্বেও সেবন করা যাবে।

কার্যক্ষমতা সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে সিলডেনাফিলের সেবনমাত্রা বাড়িয়ে ১০০ মি.গ্রা ও কমিয়ে প্রায় ২৫ মি. গ্রা. পর্যন্ত করা সম্ভব। সর্বোচ্চ সেবনমাত্রা হচ্ছে প্রতিদিন ১টি ট্যাবলেট।

গর্ভাবস্থায় এর ব্যবহার

নবজাত, শিশু ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।

এডিগ্রা (Adegra) ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

নাইট্রিক অক্সাইড ও সাইক্লিক গুয়ানোসিন মনোফসফেট পাথওয়েতে সিলডেনাফিলের প্রভাব থাকায় ইহা নাইট্রেট এবং অরগানিক নাইট্রেট এর হাইপোটেনসিভ ইফেক্টকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সিলডেনাফিল ব্যবহার করা যাবে না। যাদের সিলডেনাফিলের প্রতি সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।

সম্পূর্ন শরীর: মুখ ফুলে যাওয়া, ফটোসেনসিটিভিটি বিক্রিয়া, শক, এসথেনিয়া, ব্যথা, চিলস, দুর্ঘটনাবশত পরে যাওয়া, অ্যাবডোমিনাল ব্যথা, অ্যালার্জিক বিক্রিয়া, বুক ব্যথা, দুর্ঘটনাবসত ইনজুরি ইত্যাদি।

কার্ডিওভাসকুলার: এনজিনা পেকটোরিস, এভি ব্লক, মাইগ্রেইন, সিনকোপ, ট্যাডিকার্ডিয়া, প্যালপিটিসন।

ডাইজেস্টিভ: বমি, গ্লোসাইটিস, কোলাইটিস, ডিসফ্যাজিয়া, গ্যাস্ট্রাইটিস, গ্যাস্টোইন্টরাইটিস, ইসোেফাজাইটিস, স্টোমাইটাইটিস, ড্রাই মাউথ, অস্বাভাবিক যকৃত কিনা, রেকটাল হেমোটেইজ, জিনজিভাইটিস।

হেমিক এবং লিমফেটিক: অ্যানেমিয়া এবং লিউকোপেনিয়া।

মেটাবলিক ও নিউট্রিশনাল: তৃষ্ণা, ফুলে যাওয়া, গাউট, ডায়েবেটিস, হাইপারগ্লাইসেমিয়া, পেরিফেরাল ইডিমা, হাইপার ইউরেসিমিয়া, হাইপোগ্লাইসেমিক বিক্রিয়া, হাইপারন্যাট্রেমিয়া।

মাসকুলোস্কেলিটাল: আর্থাইটিস, আথ্রোসিস, মায়ালজিয়া, টেনডন রাপচার, হাড় ব্যথা, টেনোসিনভাইটিস, মাইওসথেনিয়া, সাইনোভাইটিস।

স্নায়ু: অ্যাটাকসিয়া, হাইপারটোনিয়া, নিউরালজিয়া, নিউরোপ্যাথি, প্যারেসথেসিয়া, কাপুনি, ভার্টিগো, ডিপ্রেসন, ইনসোমনিয়া, সোমনোলেন, অ্যাবনরমাল ড্রিম, হাইপেসথেসিয়া।

শ্বসন: অ্যাজমা, ডিসপনিয়া, ল্যারেনজাইটিস, ফ্যারেনজাইটিস, সাইনুসাইটিস, ব্রনকাইটিস, কফ। চামড়া ও অ্যাপেনডেজেস আর্টিকেরিয়া, হারপিস সিমপ্লেক্স, প্ররাইটাস, ঘাম, স্কিন আলসার, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস, এক্সফোলিয়েটিভ ডার্মাটাইটিস।

বিশেষ সেল: হঠাৎ কানে কম শোনা, মাইডিয়াসিস, কনজাংটিভাইটিস, ফটোফোবিয়া, টিনিটাস, চোখ বাথা, কান ব্যথা, চোখে রক্তক্ষরণ, চোখে ছানি, শুষ্ক চোখ ইত্যাদি।

কার্ডিওভাস্কুলার ও সেরেব্রোভাস্কুলার: গুরুতর মারাত্মক কার্ডিওভাস্কুলার, সেরেব্রোেভাস্কুলার এবং ভাস্কুলার ইভেন্টস যেমন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, হঠাৎ কার্ডিয়াক ডেখ, ভেন্ট্রিকুলার অ্যারিদমিয়া, কার্ডিওভাস্কুলার হিমোরেজ, ট্রানসিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক, হাইপারটেনশন, সাব অ্যারাকনয়েড এবং ইনট্রাসেরেব্রাল হেমোরেজ এবং পালমোনারী হেমোরেজের প্রতিবেদন হয়েছে এর অল্পবিস্তর ব্যবহারে। প্রায় সব রোগীদের আগে থেকেই কার্ডিওভাস্কুলার রিস্ক ফ্যাক্টর ছিল তাদের অনেক সমস্যাই ঘটেছিল যৌন ক্রিয়ার সময় অথবা পরবর্তী সময়ে এবং কিছু ক্ষেত্রে যৌন ক্রিয়া ছাড়াই শুধুমাত্র সিলডেনাফিল ব্যবহারের পরে। অন্যান্য ক্ষেত্রে এগুলো ঘটেছিল সিলডেনাফিল ব্যবহার বা যৌন প্রতিক্রিয়ার কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পরে। এটা নির্ধারন করা সম্ভব হয়নি এ সকল ঘটনার সাথে সিলডেনাফিল এর কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা, সেই সকল রোগী যাদের ২৩টি কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, অথবা এই সকল ফ্যাক্টরের সন্নিবেশ অথবা অন্যান্য ফ্যাক্টর নিয়োজিত ছিল।

নার্ভাস: সিজার, রিকারেন্ট সিজার, উদ্বিগ্নতা এবং ট্রানসিয়েন্ট গ্লোবাল অ্যামনেসিয়া।

ইউরোজেনিটাল: বর্ধিত ইরেকশন, প্রায়পিজম এবং হেমাটুরিয়া।

বিশেষ স্নায়ু: ডিপ্লোপিয়া, সাময়িক দৃষ্টি শক্তি হ্রাস, অকুলার রেডনেস অথবা ব্লাডশট এর আবির্ভাব, অকুলার বার্নিং, অকুলার সোয়েলিং, বর্ণিত ইনট্রাঅকুলার প্রেসার, রেটিনাল ভাস্কুলার ডিজিজ অথবা রক্তক্ষরণ, ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্ট/ ট্রাকশন, প্যারামেকুলার ইডেমা এবং এপিসট্যাক্সিস।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: যাদের লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা রয়েছে তাদের সঠিক কারন বের করে উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হবে।

Post a Comment