সর্দিজ্বর বা সর্দিকাশি এর চিকিৎসা

Admin

Common cold অর্থাৎ সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি-জ্বর এক ধরনের ভাইরাসঘটিত সংক্রামক রোগ যা মানবদেহের ঊর্ধ্ব শ্বাসপথ, বিশেষ করে নাকে আক্রমণ করে। এছাড়া এই রোগে গলবিল, অস্থিগহ্বর ও স্বরযন্ত্রও আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার দুই দিন পর বা তারও আগেই এই রোগের লক্ষণ ও উপসর্গগুলি প্রকাশ পেতে পারে।

সর্দিজ্বরের জন্য সাধারণত প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়; এবং অবস্থার উপর ভিত্তি করে এন্টিবায়োটিক সহ অন্যান্য ঔষধ যুক্ত করা যায়।

সর্দিজ্বর/সর্দিকাশির ঔষধ

১. মাথা ব্যথা, শরীর ব্যাথা, জ্বর এর জন্য - প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ;

২. মাথা ব্যথা বেশি হলে - টলফেনামিক জাতীয় ঔষধ;

৩. শরীর ব্যথা বেশি হলে উপরের ১ এবং ২ নং ঔষধ বন্ধ রেখে ডাইক্লোফেনাক জাতীয় সাপোসিটার পায়ুপথে ব্যবহার করতে হবে;

৪. সর্দির জন্য এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ - সেটিরিজিন অথবা, ডেসলোরাটাডিন অথবা, ইবাস্টিন অথবা, রুপাটাডিন অথবা, বিলাস্টিন জাতীয় ঔষধ;

৫. বুকে টান বা কাশি থাকলে কিটোটিফেন জাতীয় ঔষধ অথবা, কাশির সাথে কফ থাকিলে মন্টিলোকাস্ট জাতীয় ঔষধ;

৬. কাশি বেশি হলে সিরাপ - মিউকোস্পেল অথবা, ব্রোফেক্স; যদি কাশির সাথে কফ আসে তাহলে ব্রোফেক্স টিএস অথবা, তুসকা প্লাস সিরাপ খাইতে দেয়া যায়।

৭. ঠান্ডায় নাক বন্ধ থাকিলে নাকের ড্রপ - এন্টাজল বা, রাইনোজল; অথবা নাকের স্প্রে - এন্টাজল প্লাস; অথবা কুসুম গরম পানির সাথে মেনথল মিশিয়ে গরম ভাপ নিতে হবে।

৮. সঠিক নিয়মে ঔষধ সেবন করলে উপরের ওষুধেই রোগ ভালো হবে। তবে যদি কোনকারনে উপরের ঔষদ ৩ দিন সেবনের পর উপরের ঔষধে কোন পরিবর্তন না দেখা গেলে ডাক্তারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ঔষধ এবং প্রয়োজনে স্টেরয়েড ঔষধ সেবন করতে হতে পারে।

_____

সতর্কতা! ইহা একটি নমুনা চিকিৎসা মাত্র, সকল প্রকার ঔষধের ডোজ (খাবারের নিয়ম) রোগির শরীরের গঠন, বয়স, ওজনে এবং রোগের অবস্থার ওপরে নির্ভর করে দেয়া হয়, তায় সেবনের পূর্বে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Post a Comment