ধনুষ্টঙ্কার বা টিটেনাস, বা লক-জ, একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যা একটি জীবাণু ঘটিত মারাত্মক রোগ। বেসিলাস টিটানি বা ক্লজট্রাডিয়াম টিটানি নামক জীবাণু দ্বারা এই রোগের উৎপত্তি হয়। শরীরের কোন অংশ কাটিয়া গেলে ঐ স্থানে সামান্য ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং সেখানে রোগ জীবাণু বাসা বাঁধে। অতঃপর ক্ষতস্থান হইতে টক্সিন নামক এক প্রকার পদার্থ সৃষ্টি হইয়া সারা শরীরে ছড়াইয়া পড়িয়া ধনুষ্টঙ্কার রোগ সৃষ্টি করে।
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে নাভি কাটার সময় ব্যবহৃত ব্লে"ড জীবাণুযুক্ত হলে এছাড়াও ছু"রি, চা"কু, ব্লে"ড, সিরিঞ্জে থাকা নিডল, পেরেক/পিন দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হলে, কিম্বা অপারেশনের পরে এবং এবোর্শনের সময় ব্যবহৃত সরঞ্জাম জীবাণুযুক্ত হলে এই রোগ হইতে পারে। এমনকি হাসপাতালে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে কোন রোগীর ধনুষ্টঙ্কার থাকলে উহা অন্য রোগীর দেহেও সংক্রামিত হইতে পারে। ধনুষ্টংকার একটি প্রতিরোধ যোগ্য রোগ। ঠিকভাবে টিটেনাস ভ্যাকসিন দিলে এই রোগ হয় না।
টিটেনাস বা ধনুষ্টংকার এর প্রতিষেধক
শরীরের কোন অংশ/জায়গা কা"টা গেলে, পায়ে পেরেক ফুটিলে, অপারেশন করার পর কোথাও ঘা হইলে, বাচ্চা হইবার পর প্রসূতির নবজাত শিশুর নাড়ী কাটবার পরে, আগুনে পুড়লে ধনুষ্টঙ্কার হইবার সম্ভাবনা থাকে।
তাই সংক্রমণের Adsorbed Tetanus Vaccine ইনজেকশন চামড়ার নীচে দিতে হবে।
মাত্রা: ১টি ইনজেকশন মাংসে দিতে হয়। আবার, ১ মাস পর পর আরও ২টি ইনজেকশন দিতে হয়।
বিদ্র: ইনজেকশন দিবার পরে ৫ বছর পর্যন্ত কোন টিটেনাস ভ্যাকসিন নিতে হবেনা। তবে ৫ বছর পরে ব্রুস্টার ডোজ বছরে ১ টি করে অথবা কে"টে গেলে ১ টি টিটেনাস ভ্যাকসিন নিলেই হয়।
ধনুষ্টংকার রোগ এর চিকিৎসা
ধনুষ্টঙ্কার হলে রোগির ঘার, হাত-পা শক্ত হয়ে যাবে এবং খিচুনি হবে ধীরে ধীরে রোগীর শরীর ধনুকের মতো বাকা হবে। এই রোগ হওয়া মাত্রই, অযথা সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
_____