অর্শ বা পাইলস এর চিকিৎসা ও পরামর্শ

Admin

পাইলস, যা হেমোরয়েডস বা অর্শ নামেও পরিচিত, হলো পায়ু পথের কাছাকাছি থাকা ফুলে যাওয়া রক্তনালী। এটি ব্যথা, চুলকানি, অস্বস্তি এবং মলদ্বার থেকে রক্তপাতের কারণ হতে পারে।

পাইলস সাধারনত দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দেয়া এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে, গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন এবং পেটের ওপর চাপ বাড়ার কারণে, প্রসবের সময় বা অন্য কোনো কারণে আঘাত লাগলে এটি হয়ে থাকে।

প্রাথমিক পর্যায়ে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন, চা, কফি, এবং মশলাযুক্ত খাবার বন্ধ করে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত এবং কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এটি নিরাময় করা সম্ভব।

পাইলসের চিকিৎসা

১. মলদ্বারের জ্বালা-পোড়া ও ব্যথা কমাইবার জন্য এনুস্ট্যাট অয়েন্টমেন্ট অথবা, এরিয়ান অয়েন্টমেন্ট আক্রান্ত স্থানে লাগতে হবে।

২. ব্যথা তীব্র হলে কেটোরোলাক জাতীয় ট্যাবলেট অথবা ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ট্যাবলেট;

৩. গ্যাসের ঔষধ ওমিপ্রাজল ক্যাপসুল অথবা, ইসোমিপ্রাজল জাতীয় ঔষধ খেতে হবে;

৪. রক্তপাত বেশি হলে ট্রাক্সিল ক্যাপসুল অথবা ট্রামিক ট্যাবলেট খাইতে হবে;

৫. মানসিক অস্থিরতার জন্য ডায়াজিপাম ট্যাবলেট অথবা, এমিট্রিপটিন ট্যাবলেট অথবা, এসসিটালোপ্রাম ট্যাবলেট;

৬. পায়খানা শক্ত হলে এভুলাক সিরাপ অথবা, ইজিলাইফ ট্যাবলেট/সিরাপ খাইতে হবে;

৭. ইনফেকশনের জন্য সেফুরক্সিম জাতীয় এন্টিবায়োটিক ঔষধ;

৮. পাইলসের ঔষধ নরমানাল ট্যাবলেট বা হেমোরিফ ট্যাবলেট খাইতে দিতে হবে।

৯. উপরের ঔষধ সেবনের পরে, আরোগ্য লাভ না করলে অপারেশন করতে হবে।

_____

সতর্কতা! ইহা একটি নমুনা চিকিৎসা মাত্র, সকল প্রকার ঔষধের ডোজ (খাবারের নিয়ম) রোগির শরীরের গঠন, বয়স, ওজনে এবং রোগের অবস্থার ওপরে নির্ভর করে দেয়া হয়, তায় সেবনের পূর্বে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Post a Comment