![]() |
ফোড়া (abscess) হল শরীরে টিস্যুর মধ্যে পুঁজ জমা হওয়া। ফোড়ার জায়গা লালচে ও উষ্ণ হয়ে যায়, ব্যথা হয়, ফুলে যায়। ফোলার উপরে চাপ দিলে মনে হবে ভিতরে তরল জমে আছে। যতদূর ফোলা থাকে লালচে ভাব তার চেয়েও বেশিদূর পর্যন্ত থাকে। কার্বাঙ্কল ও বয়েল হল ফোড়ার দুটি প্রকারভেদ। এরা লোমকূপের স্থানে হয়। কার্বাঙ্কলের আকার বড়ো হয়।
ফোড়া হয় মূলত ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের জন্য। প্রায়শই একটি ফোড়ায় কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন জীবাণু পাওয়া যায়। নিচে ফোড়ার কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, যার ফলে ফোড়া বৃদ্ধি হতে পারে:-
- অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এক্সপোজার।
- ত্বকের সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করুন।
ফোড়ার লক্ষন
- ফোড়া হলে, আক্রান্ত স্থান ফুলিয়া উঠে ও ব্যথা হয়।
- ব্যথায় জ্বর উঠতে পারে।
- জ্বরের জন্য মাথা ব্যথা থাকে, প্রস্রাব লাল হয়।
- ফোড়া হলে আক্রান্ত স্থান দপ দপ করে ও টাটায়।
ফোঁড়ার চিকিত্সা
- ফোড়া পেকে গেলে, গালিয়ে ভেতরের ময়লা (পুঁজ) বের করে দিতে হবে।
- না পাকলে পাকানোর জন্য দৈব নালি অথবা, গরম সেক অথবা চুন ব্যবহার করে পাকাইতে হবে। তারপরে ভেতরের ময়লা বের করতে হবে।
- তারপরে শুকানোর জন্য এন্টিবায়োটিক Flucloxacilin জাতীয় ঔষধ - Fluclox অথবা, Flucloxin অথবা, Phylophen ইত্যাদি।
- ব্যথার জন্য - Paracetamol জাতীয় ঔষধ অথবা, Ibuprofen জাতীয় ঔষধ।
- সাথে গ্যাসের ঔষধ - Famotidin অথবা, Omeprazol অথবা, Esomiprazol ইত্যাদি।
উপদেশ
- রোগির ডায়াবেটিস থাকিলে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।
- এন্টিবায়োটিকের ডোজ ৭ দিন পূর্ণ করতে হবে।
সতর্কতা!
ইহা একটি নমুনা চিকিৎসা মাত্র, সকল প্রকার ঔষধের ডোজ (খাবারের নিয়ম) রোগির শরীরের গঠন, বয়স, ওজনে এবং রোগের অবস্থার ওপরে নির্ভর করে দেয়া হয়, তায় সেবনের পূর্বে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।