![]() |
ত্বকে চুলকানি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আশেপাশের অনেকেই এ সমস্যায় ভুগছেন। কারও কারও চুলকানি এতটাই মারাত্মক হয়ে যায় যে জীবনযাত্রাও ব্যাহত হয় । বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন যে শরীর চুলকানো মানেই অ্যালার্জি। এটা ঠিক যে এলার্জি বা অ্যালার্জি বেড়ে গেলে শরীর চুলকায়, অস্বস্তি হয়। তবে চুলকানি মানেই যে অ্যালার্জি, সেটা ঠিক নয়। অনেক চর্মরোগ আছে, যাতে সারা শরীর চুলকায়।
বিভিন্ন কারণে সারা শরীর চুলকাইতে পারে। যে-কোন বয়সে এই রোগ হইতে পারে। শরীরের মধ্য হইতে এন্টিজেন সৃষ্টি হইয়া এ্যালার্জি দেখা দিলে জণ্ডিস, বহুমুত্র, খোস-পাঁচড়া, রক্তে ইউরিমিয়া বা লিওকিমিয়া প্রভৃতি রোগ হইলে সর্বশরীর চুলকায়। বৃদ্ধ বয়সে এই রোগ বেশী হইতে দেখা যায়। অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চুলকাইতে চুলকাইতে আক্রান্ত স্থানের চামড়া উঠাইয়া ফেলে এবং পরে উহাতে জীবাণ দ্বারা আক্রান্ত হইয়া ঘায়ের সৃষ্টি হয়।
ত্বকের চুলকানির লক্ষণ
- সারাদিন কম চুলকায় তবে সন্ধ্যায় বা ঘুমানোর সময় ক্রমাগত চুলকানি বৃদ্ধি পায়।
- শুষ্ক ত্বক, লাল, অথবা খসখসে ত্বক।
- চুলকানির স্থানে ফুসকুড়ি বা ছোট ছোট ফোঁড়া দেখা যায়।
- ক্রমাগত চুলকানির কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
রোগের চিকিৎসা?
- চুলকানি বন্ধের জন্য এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ - Alcet অথবা, Deslor অথবা, Oradin অথবা, Fexo অথবা, Rupa অথবা, Biltin ইত্যাদি।
- লোশন - Lorix Plus অথবা, Elimet Plus অথবা, Tetrasol অথবা, Unix-c ইত্যাদি।
- অ্যালার্জি জনিত ঘায়ের জন্য - Neocin Crem দিতেন হবে।
সারা শরীরে চুলকানি হলে করনীয়
- গরম মসলাযুক্ত খাদ্য বাদ দিতে হইবে।
- যে খাদ্য খাইলে শরীরে চুলকানি বৃদ্ধি পায় সেইসব বাদ দিতে হবে।
- গরুর-মাংস, হাঁসের মাংস, ডিম, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ, বেগুন, পাকা কলা ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।