|
পুরুষত্বহীনতা, যাকে সাধারণত ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (ED) বলা হয়। সহজ কথায়, পুরুষত্বহীনতা হলো সন্তোষজনক যৌন কর্মক্ষমতার জন্য পর্যাপ্ত উত্থান অর্জন বা বজায় রাখার অক্ষমতাকে বুঝায়। আবার, সাধারণত: পুরুষাঙ্গ উত্তেজনায় দৃঢ় ও শক্ত হয়। কিন্তু উহা সঠিক স্থায়ী ও দৃঢ় না হওয়ার জন্য উহাকে আংশিক অঙ্গ শিথিল ও পুরুষত্বহীনতা বলা হয়।
পুরুষত্বহীনতার কারন ও লক্ষন
- দীর্ঘদিন যৌন ব্যাধিতে ভূগিলে এবং যথাসময়ে উহার চিকিৎসা না করিলে।
- অল্প সময়ে বার বার সঙ্গম করিলে কিছুক্ষণের জন্য এমন হইতে পারে। কিন্তু প্রথম দিকে এমন না হইয়া শেষ দিকেও হইতে পারে।
- স্নায়োর ক্লান্তি ও অবসাদের জন্য ইহা হইতে পারে।
- স্ত্রীর বিরাট দেহ মনকে চিন্তাযুক্ত করিয়া মনে ভীতির সঞ্চার করে। এই ধরনের চিন্তা দীর্ঘদিন হইলে শেষ পর্যায়ে বিরাট ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়।
- প্রায়ই হস্থমৈথুন, স্বপ্নদোষ, স্বমেহন, লিঙ্গের অগ্রভাগে আঠাল পদার্থ বাহির হওয়ায় দীর্ঘদিন চিন্তা ভাবনা করিলে ধীরে ধীরে যৌন অঙ্গে আংশিক শিথিল ভাব দেখা দিতে পারে।
- Vitamin-E-এর অভাবে এমন হইতে পারে।
- Calcium-এর অভাবের জন্যও এমন হইতে পারে।
- ৪০/৫০ বৎসর বয়সের অধিক হইলেও ইহা হইতে পারে।
পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা
- নার্ভের শিথিলতা ও দুর্বলতার জন্য - B126 অথবা, Neuro B অথবা, Neurocare অথবা, Neuralgin ইত্যাদি প্রত্যাহ ২ বেলা করে ১-২ মাস।
- ভিটামিন-ই জাতীয় ঔষধ - E-Cap 200 প্রতিদিন ২ বেলা করে ১ মাস।
- ভিটামিন সি জাতীয় ঔষধ - Ceevit 250mg প্রতিদিন 2 টি করে ১ মাস।
- ক্যালসিয়াম + ভিটামিন-ডি জাতীয় ঔষধ - Coralcal D অথবা. Coraltab D প্রতিদিন ১/২ বেলা ১ মাস।
- আয়রনের ঔষধ - Ferix V অথবা, Zif Ci প্রতিদিন ১ টা করে ১ মাস।
- পুরুষত্বহীনতার ঔষধ - Gintex 500mg দৈনক ২ বার।
- সহবাসের ১ ঘন্টা আগে Susten 30ng ১ টা।
উপদেশ
- নিয়মিত কেগেল এক্সারসাইজ করবেন।
- রোগীর মন হইতে যাবতীয় চিন্তা, ভয় দূর করিবার চেষ্টা করিতে হইবে। এমনিতে না হলে Esita 5mg শুধুমাত্র রাতে খাবে।
- গণোরিয়া, সিফিলিস, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগের কারণ হইলে উহার চিকিৎসা করিতে হইবে।
- হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে জারনাইড সিরাপ খেতে হবে এবং ভালো বই - মুক্ত বাতাসে খুঁজে এবং তুমি ফিরবে বলে বইগুলো পড়তে পাড়েন।
- উপরের ঔষধে কাজ না করলে হরমোনাল ঔষধ Androcap অথবা, Eredex 2.5 খাওয়া লাগতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে একজন যৌন বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে খাইতে হবে।
সতর্কতা!
ইহা একটি নমুনা চিকিৎসা মাত্র, সকল প্রকার ঔষধের ডোজ (খাবারের নিয়ম) রোগির শরীরের গঠন, বয়স, ওজনে এবং রোগের অবস্থার ওপরে নির্ভর করে দেয়া হয়, তায় সেবনের পূর্বে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
