![]() |
যৌবনকালে যুবক-যুবতীদের মুখে যে ব্রণ উঠে, তার নাম একনি (Acne) বা ব্রন। ব্রণ মুখমণ্ডল ছাড়াও ঘাড়ে, পিঠে ও বুকে উঠতে দেখা যায়। যৌবনে হরমোনের কমবেশীর জন্য ব্রণ হয়ে থাকে। প্রতিটি ছেলে-মেয়ের ব্রণ হয়ে থাকে তবে, কারো কম-বেশি হতে পারে। আবার অনেকের নাও হতে পারে।
খাদ্যনালীর কোথাও কোন রোগ থাকিলে এবং মেয়েদের মাসিকের গণ্ডগোল কিংবা রক্তহীনতায় ভূগিলে এই ব্রণ হয় বলে ধারণা করা হয়। ব্রণ চিনিতে কষ্ট হয় না। ব্রনে টিপিলে সাদা ভাতের মত এক প্রকার পদার্থ বাহির হয়। টিপিবার ফলে ২/১ টি ফুলিয়া উঠে। তখন উহাতে ব্যথা হয়, এবং মুখ ফুলে যায়। সেইক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক দ্বারা চিকিৎসা করিতে হয়। কিছু ব্রণ আপনা-আপনি, ধীরে ধীরে কমিয়া যায়। ব্রণের কারনে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হইয়া যায়।
ব্রণ দূর করার ঔষধ
- ব্রণ সচরাচর বিশ বছর বয়সের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়, তবে এর পরেও অনেকে থাকতে পারে।
- ব্রণের ঔষধ Doxycycline জাতীয় ঔষধ - Doxycap, Doxin ইত্যাদি।
- ব্রণ দূর করার ক্রিম - Exovet N এবং
- ব্রণের এন্টিবায়োটিক - Flucloxacilin জাতীয় ঔষধ।
- ব্রণে চুলকানি হলে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ - Alcet, Deslor ইত্যাদি।
- ব্রণে ব্যথা হলে, Paracetamol জাতীয় ঔষধ - Napa, Ace ইত্যাদি।
ব্রণ হলে করনীয়
- ক্রিমটা ব্যবহারের পূর্বে ছোট্ট নিডল (Lancet Needles) দিয়ে প্রতিটি ব্রনে ছিদ্র করে ভেতরের সাদা অংশ বের করে দিলে ভালো হয়। তবে এতে এতে জ্বালা করবে, ব্যথা হবে এবং নোখ লাগালাইলে দাগ পড়ে যাবে।
- ক্রিমটা লাগানোর পূর্বে একটা কাপে বা ছোট পাত্রে পানি আর লবনের মিক্স করে মুখে দিয়ে ২-৪ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে নিতে হবে নরমাল পানি দিয়ে। তবে সতর্ক থাকবেন চোখে যেনো লবন পানি না যায়।
- বেশি বেশি পানি খাবেন এবং কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাবেন।
- মসলাযুক্ত খবার কম খাবেন।